Breaking

Saturday, May 22, 2021

ইজরাইল - ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব ( ৩য় পর্ব)

 


সমগ্র আরব জাতি ইজরাইলের বিরুদ্ধে কয়েকবার যুদ্ধ করে,কিন্তু কোনো লাভ হয় না।প্রতিবার আরবরা হেরে যায়।অপর দিকে ইজরাইল ভূমি দখল করে গ্রেটার ইজরাইল তৈরি করে। ফিলিস্তিন এবং ইজরাইলের এই দ্বন্দ্ব কিছুটা কমে আসে যখন ১৯৯২ সালে ইজরাইলে Yitzhak Rabin নামে একজন প্রধানমন্ত্রী আসেন।Yitzhak Rabin বলেন জেরুজালেমকে অধিকার করতে বা স্বাধীন করতে ফিলিস্তিন বাসীরা যে স্বাধীনতা  আন্দোলন সে জন্য  সমস্ত ফিলিস্তিন বাসীকে সন্ত্রাসবাদী বলে দেওয়াটা ঠিক না এবং তাদের নেতা ইয়াসের আরাফাত কেউ সন্ত্রাস বলা ঠিক না।তারা যে স্বাধীনতা চাচ্ছে সেটা তাদের অধিকার। এটা আমাদের মানা উচিত।শান্তিতে থাকতে চাইলে প্রতিবেশীদের সাথে সমঝোতা বজায় রেখে থাকতে হবে।এর ফলে ১৯৯৩ সালে Oslo Accord এ একটি সমঝোতা হয়,সেখানে ফিলিস্তিন অফিসিয়ালি ভাবে ইজরাইলকে মানত দেয় একটি দেশ হিসেবে এবং ইজরাইল অফিসিয়ালি ভাবে ফিলিস্তিনকে মানত দেয় একটি দেশ হিসেবে।  

ফিলিস্তিন এবং ইজরাইল এর মধ্যে যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলো তার জন্য ১৯৯৪ সালে ইয়াসের আরাফাত এবং Yitzhak Rabin এই দুই জনকে Novel Peace  এওয়ার্ড দেওয়া হলো।কিন্তু এই এওয়ার্ডের জন্য দুই দেশের জাতীয়তাবাদী চিন্তার মধ্যে আগুনে ঘি ঢালার মতো হলো।যারা ইজরাইলের ডানপন্থী নেতা এবং জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে তারা মনে করতে থাকে সমগ্র ফিলিস্তিন ইজরাইলের দখলে আসতে হবে। ইজরাইল সমগ্র ফিলিস্তিন দখল করে নিবে। আর তারা রবিন নামের প্রধানমন্ত্রীর কাজটা সমথর্ন করতে পারলো না। ১৯৯৫ সালে ইজরাইলের জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এক লোক প্রধানমন্ত্রী রবিনকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যার পর ইজরাইলের জাতীয়তাবাদী চিন্তার বিরুদ্ধে আর কোনো নেতা কথা বলে নাই। বরং তারা জাতীয়তাবাদী চিন্তাকে সমথর্ন জানিয়ে যে কোনো ভাবেই হোক ফিলিস্তিনকে দখল করে গ্রেটার ইজরাইল তৈরি করবে এবং জেরুজালেম কে তাদের রাজধানী বানাবে।এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

অপরদিকে ফিলিস্তিন নেতা ইয়াসের আরাফাত নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবার পর সেখানেও জাতীয়তাবাদ চেতনা জেগে ওঠে। তাদের মাঝে উগ্র জাতীয়তাবাদ চেতনা সৃষ্টি হয়।যার একটা সংগঠন হামাসের ছায়াতলে আসে। হামাস যদিও ফিলিস্তিন জনগণের কাছে একটা বিপ্লবী সংগঠন ছিল কিন্তু বাকি পৃথিবীর কাছে হামাস উগ্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। হামাসের জনপ্রিয়তা ফিলিস্তিনের কাছে একটু একটু করে বারতে থাকে।হামাস বলতে থাকে কেন,কিসের জন্য আমরা ইজরাইলের সাথে সমঝোতা করবো। কোনো সমঝোতা করা যাবে না,কোনো আপস করা যাবে না।এভাবে হামাস ফিলিস্তিন জনগণের সাপোর্ট পেয়ে যায়।হামাস সারা পৃথিবীর কাছে জঙ্গি সংগঠন হলেও ফিলিস্তিন জনগণের কাছে তাদের রক্ষক।ফিলিস্তিন জনগণ মনে করে একমাত্র হামাস ই পারবে জেরুজালেমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং ইজরাইলকে হারিয়ে দিয়ে পুনরায় ফিলিস্তিনকে সংগঠন করতে। একমাত্র হামাস ই পারবে ইজরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে। এর ফলে হামাস ফিলিস্তিন জনগণের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে গেছে। 

No comments:

Post a Comment